হাতিয়ায় পুলিশের সামনে আরএমও’র কক্ষে হামলা, ভিডিও ভাইরাল
হাতিয়া পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মমিন উল্যাহ রাসেল ও নাজমুল হোসেন রাফুল।
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশের সামনে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শেখ মো. মাহমুদুর রহমানের কক্ষে এক যুবদল নেতার নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ওই হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যাতে পুলিশের সামনে হামলায় উদ্ধত হলে ডা. মাহমুদ নিজেকে বাঁচাতে চিৎকার করতে দেখা যায়। এরআগে রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে আরএমও’র কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নিজেদের প্রতিষ্ঠিত স্থানীয় পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষার জন্য রোগী না পাঠানোয় ওই হাসপাতালের পরিচালক হাতিয়া পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মমিন উল্যাহ রাসেলের নেতৃত্বে আরেক পরিচালক নাজমুল হোসেন রাফুল এ হামলা চালান।
অভিযুক্ত নাজমুল হোসেন রাফুল ৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিতি থাকলে ছাত্র অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
আরএমও ডা. শেখ মো. মাহমুদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, নাজমুল হোসেন রাফুল দীর্ঘদিন থেকে আমার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল। তার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আমি জানি। সম্পতি আমি সরকারি ডিউটির পাশাপাশি অন্য একটি চেম্বারে রোগী দেখি। তাদের প্রতিষ্ঠিত পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আমি যাইও না রোগীও পাঠাই না। এজন্য তারা আমার উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েকদিন থেকে আমাকে আক্রমনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তাদের আসার খবর পেয়ে আমি থানায় ফোন করে আমার সরকারি অফিসে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ডাকি। সেই পুলিশের সামনে যুবদল নেতা মমিন উল্যাহ রাসেল ও নাজমুল হোসেন রাফুল আমার উপর আক্রমণ চালায়। পুলিশ তাদের নিভৃত করলেও এ ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
অভিযুক্ত নাজমুল হোসেন রাফুল বলেন, আমার একজন রোগীকে ওই ডাক্তার তার স্ত্রীর মাধ্যমে ভুল পরীক্ষা করিয়ে অনেক টাকা খরচ করিয়েছেন। সেটা জিজ্ঞেস করতে গিয়ে দেখি সরকারি অফিসে ফিস নিয়ে তিনি রোগী দেখছেন। তাই এ নিয়ে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে।
অন্যদিকে যুবদল নেতা মমিন উল্যাহ রাসেল বলেন, আমি এ ঘটনায় জড়িত নয়। তবে খবর পেয়ে সেখানে কি হয়েছে তা দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিনহাজসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি তাদেরকেও জিজ্ঞেস করতে পারেন।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, হাসপাতাল থেকে নিরাপত্তার জন্য ফোন করায় সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। শুনেছি দুই পক্ষের তর্কাতর্কি হয়েছে। পুলিশ মাঝখানে থেকে দুই পক্ষকে নিভৃত করেছে। তবে এ নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কমেন্ট বক্স